Wellcome to National Portal

অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের এল.এ চেক প্রাপ্তিতে এ কার্যালয়ে কোন অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয় না। কেউ কোন প্রকার অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে জেলা পরিষদ বরিশাল, প্রতিষ্ঠার সন-১৮৮৫ ইং।

বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালী জেলার প্রাচীন নাম বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। প্রাচীনকালে এ অঞ্চল বাঙ্গালা নামেও পরিচিত ছিল। বাঙ্গালা নামটি পরিবর্তিত হয়ে বাকলা হয়েছে। এগারো ও তের শতকের তাম্রলিপিতে বাঙ্গালা ও চন্দ্রদ্বীপ নামের উল্লেখ  আছে। চর্তুদশ শতকে রাজা ধনুজমর্দন চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। বাকলা চন্দ্রদ্বীপের রাজধানী ছিল। মোঘল আমলে বাকলা সুবে বাংলার একটি সমৃদ্ধশালী সরকার ছিল। ১৭৯৬ সনে বাকলা চন্দ্রদ্বীপ নিয়ে বাকেরগঞ্জ জেলা সৃষ্টি করে। আগাবাকের নবাব আলীবর্দ্দী খানের সময় চট্টগ্রামের ফৌজদার ও এ জেলার একজন প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন। তার নামানুসারে জেলার নাম বাকেরগঞ্জ হয়েছে। ১৮০১ সনে জেলার সদর দফতর বাকেরগঞ্জ হতে বরিশালে স্থানান্তরিত হয়। বরিশাল নামটি আধুনিক কালের। জেলার নাম বাকেরগঞ্জ হলেও এ অঞ্চল বরিশাল নামেই আজ সু-পরিচিত।

বাংলাদেশের নদী বেষ্টিত ও শস্য মন্ডিত  ঐতিহ্যবাহী একটি জনপদের নাম বরিশাল। শিল্প-সাহিত্যে সম্মৃদ্ধ এই জেলা ইংরেজ আমল থেকেই ব্যবসা বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এক সময়ে ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকেরা বসবাসের উদ্দেশ্যে এই জনপদে পদাচরণ করেছিল। বণিকেরা বড় লবণ চৌকিকে বরিসল্ট বলত। এই বরিসল্ট থেকে ক্রমান্বয়ে বরিশাল নামের উৎপত্তি হয়েছে।

সীমা ও আয়তনঃ বরিশাল জেলার উত্তরে মাদারীপুর ও শরীয়াতপুর জেলা, দক্ষেণে ঝালকাঠী ও পটুয়াখালী জেলা, পূর্বে লক্ষীপুর ও ভোলা জেলা ও মেঘনা নদী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জ জেলা অবস্থিত।

আয়তনঃ ২৭৯১ বর্গ কিঃ মিঃ।

উপজেলা   ঃ ১০ টি।

ইউনিয়নঃ ৮৬ টি।

মৌজা   ঃ ১০৬৯ টি।

নদ-নদীঃ কীর্তনখোলা, আড়িয়াল খাঁ, রামগঞ্জ, গজারিয়া নদী ইত্যাদি।

ভূমিরূপঃ মাঝারি উঁচু ভূমি।

উৎপাদিত ফসলঃ প্রধানত ধান ও পাট।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বঃ বাংলার বাঘ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, রূপসী বাংলার কবি জীবনান্দ দাশ, আদি কবি মীননাথ, মনসা মঙলের কবি বিজয়গুপ্ত, চারণ কবি মুকুন্দ দাস, কবি আসাদ চৌধুরী, মেজর এম এ জলিল, কবি সুফিয়া কামাল, খান বাহাদুর, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সিপাহী মোস্তফা কামাল।

          ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানঃ অক্সফোর্ড মিশন, বগুড়া, শংকর, জোড় মসজিদ, শের-ই-বাংলা যাদুঘর, দুর্গা সাগর-মাধবপাশা বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, জাহাঙ্গীর নগর, বাবুগঞ্জ। কবি জীবনান্দ দাস স্মরণে অডিটরিয়াম ও গ্রন্থাগার, বগুড়া রোড, বরিশাল। দোয়ারিকা-শিকারপুর সেতু, দপদপিয়া সেতু, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক ও শিশু পার্ক।

 

 

এক নজরে বরিশাল

 

 

আয়তন

২,৭৯১ বর্গকিমি

লোকসংখ্যা (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)

২৩ লক্ষ ৭৭১ জন (পুরুষ ১১ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৭ জন, মহিলা ১১ লক্ষ ৭২ হাজার ৭১৪ জন)

সংসদীয় আসন

৬ টি

সিটি কর্পোরেশন

১ টি

পৌরসভা

৬ টি

উপজেলা

১০ টি

থানা

১৩ টি

ইউনিয়ন

৮৫ টি

গ্রাম

১,২২৭ টি

মৌজা

১,০৭১ টি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

৯৫১ টি

রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়

৪৯৩ টি

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়

২ টি

বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়

৩৪৯ টি

সরকারি কলেজ

৭ টি

বেসরকারি কলেজ

৫৮ টি

নদী

২০ টি

নৌ-পথ

১,১৫০ কিমি

বদ্ধ জলমহাল (২০ একরের উর্ধ্বে)

১ টি

বদ্ধ জলমহাল (অনুর্ধ্ব ২০ একর)

১৫৭ টি

উন্মুক্ত জলমহাল

৩২ টি

হাট-বাজার

২৯৩ টি

ইউনিয়ন ভূমি অফিস

৬৯ টি

পাকা রাস্তা

৭,৭৪৩.৫ কিমি

কাঁচা রাস্তা

১,৫১৭.৫ কিমি