Wellcome to National Portal

অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের এল.এ চেক প্রাপ্তিতে এ কার্যালয়ে কোন অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হয় না। কেউ কোন প্রকার অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
কলসকাঠী জমিদার বাড়ি
স্থান

The zamindar's house is located near the government primary school adjacent to Kalsakathi Bazar in Kalsakathi union under Bakerganj upazila.

কিভাবে যাওয়া যায়

বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরের সাহেবগঞ্জ খেয়া পার হয়ে মোটর সাইকেল, রিকশা বা ভ্যান যোগে প্রায় ৩ কিঃ মিঃ দূরত্বে কলসকাঠী বাজারের কিছুটা আগে জমিদার বাড়িটির অবস্থান।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

এটি বাকেরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। কলসকাঠী একটি প্রাচীন জনপদ। কলসকাঠীতে তের জমিদারের বসবাস। বস্তুত পক্ষে কলসকাঠীর ইতিহাস জমিদারীর ইতিহাস। ১৭০০ সালের গোড়ার দিকে জমিদার জানকি বল্লভ রায় চৌধুরী কলসকাঠী স্থাপন করেন। আগে এর নাম ছিল কলসকাঠী; কলসকাঠী অপভ্রষ্ট কলসকাঠী।

জানকী বল্লভ রায় চৌধুরী ছিলেন গারুড়িয়ার জমিদার রামাকান্তের পুত্র। জানকী বল্লভ রায় চৌধুরীরা ছিলেন দুই ভাই। বড় ভাই রাম বল্লভ। জানকী বল্লভকে হত্যার চক্রান্ত করে রাম বল্লভ। জানকী বল্লভ তার বৌদির মাধ্যমে হত্যার বিষয়টি জানতে পেরে রাতের আধারে গারুড়িয়া ত্যাগ করে মুর্শিদাবাদ চলে যান। সেখানে তিনি নবাবের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন এবং নবাব তাকে অরংপুর পরগনার জমিদার হিসেবে নিয়োগ করেন। যতদূর পর্যন্ত ভাটা তত দূর পর্যন্ত জানকী বল্লভের পাট্টা ছিল। জমিদারী পেয়ে তিনি কলসকাঠীতে এসে বসতি স্থাপন করে। কলসকাঠীর তের জমিদার মূলত জানকী বল্লভের পরবর্তী বংশধর।

প্রায় তিনশ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে জমিদার বাড়ি। এই জমিদার বাড়ি এখনও শক্ত কাঠামো ভিত হয়ে দাড়িয়ে আছে, কিন্তু এখন নিঃসন্দেহে সংস্কারের দাবি রাখে। বাড়ির মানুষজনের কাছে শুনেছিলাম তাদের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কথা। আবার সরকারিভাবেও এদিকে নেই কোন দৃষ্টি। বলা হয় এখানে তের জমিদারের বসবাস ছিল।

আসলে কলসকাঠীকে একটি পৃথক জমিদার বাড়ি না বলে, বলা যায় পূর্ণাঙ্গ একটি প্রাচীন শহর। অনেকটা সোনারগাঁওয়ের পানাম নগরের মতো। এখানে জমিদার বাড়িগুলো বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে। মূল জমিদার বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের আরেকটি পুরনো বাড়ি আছে এখানে। এখানে বেশির ভাগই হিন্দুদের বসবাস।

এই বাড়িটিও সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ। সামনে একটি বড় উঠান এবং সঙ্গে মন্দির। এই মন্দিরে এখনও শত বছরের পুরনো মূল্যবান কোষ্ঠীপাথরের মূর্তি আছে। চুরির ভয়ে মন্দিরের ভিতরে দেবীর মূর্তিকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। মন্দিরের সামনেই রয়েছে ছোট একটি বেদি। পুজোর সময় এখানে প্রাণী বলি দেয়া হয়। এখানে প্রতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে উৎযাপিত হয় ঐতিহ্যবাহী জগদ্বাত্রী পূজা। সর্ববৃহৎ দূর্গা পূজায় কলসকাঠীতে তেমন আনন্দ-উৎসব না হলেও এ পূজা ঘিরে কলসকাঠী পরিণত হয় লাখো মানুষের মিলনমেলায়। দূর দুরান্তের গ্রাম-গঞ্জ থেকে এই পূজায় অংশ নিতে মানুষজন ছুটে আসে। যা হয়ত চোখে না দেখে বিশ্বাস করা যাবে না।